সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহ:
জনগণের স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে বিগত ৩ বৎসরে গাজীপুর জেলা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক উন্নতি এবং উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। নবজাতকের মৃত্যু হার হ্রাস পেয়ে প্রতি হাজারে ২১ হয়েছে (সূত্র-এসভিআরএসএস-২০২০) যা ২০১৪ সালে ছিল ২৯। মাতৃ মৃত্যু হ্রাস পেয়ে বর্তমানে প্রতি লক্ষ জীবিত জন্মে ১৬৩ হয়েছে (এসভিআরএস-২০২০) যা ২০১৪ সালে ছিল প্রতি লক্ষে ১৭২। ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা এবং এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকল্পে ২২৪ টি কমিউনিটি ক্লিনিক যথাযথ জনবল ও পর্যাপ্ত ঔষধ (২৭ রকম ঔষধ) দিয়ে কার্যকর ভাবে চালু রয়েছে, যা গ্রামীণ জনগণের স্বাস্থ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।
বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য গাজীপুর জেলার নিয়ন্ত্রনাধীন উপজেলাসমূহে জরুরী ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিষ্ট নিয়োগ/পদায়ন দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য গাজীপুর জেলার শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ, শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব মেমোরিয়াল বিশেষায়িত হাসপাতালে আরটিপিসিআর ল্যাবরেটরী স্থাপন করা হয়েছে। জেলার পাশাপাশি গাজীপুর জেলার ৪টি উপজেলাতে জিন এক্সপার্ট মেশিন সরবরাহ করে কোভিড-১৯ পরীক্ষা অব্যাহত আছে। জেলার প্রতিটি উপজেলায় র্যাপিড আ্যান্টিজেন টেষ্ট চালু রয়েছে। কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালকে কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে চালু করা হয়েছে। ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল গুলোতে আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, হাইফ্লোনাজল ক্যানুলা, অক্সিজন কনসেনট্রেটর সরবরাহ রয়েছে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় গাজীপুর জেলার তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অব্যাহত রয়েছে এবং কোভিড অতিমারী কালীন সময়ে তা বহুগুনে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিভাগে ই-হেলথ সার্ভিস সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বর্তমানে জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে সরকারীভাবে মোবাইল ফোন সরবরাহ করা হয়েছে। এই মোবাইল নম্বরে ফোন করে জনসাধারণ জরুরী স্বাস্থ্য সেবা গ্রহন করতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস